,

পবিত্র কোরআন মেনে চললে পুলিশিং কার্যক্রম সহজ হবে -এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোরআন হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান গ্রন্ত। সবচেয়ে  রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগোল গ্রন্ত, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও ইতিহাসের বই। কি না আছে পবিত্র কোরআনে সব কিছু আছে। কিন্তু এটা আমাদেরকে আত্বহস্থ করতে হবে, বুঝতে হবে। আমরা যে যে অবস্থায় আছি আমরা যদি কোরআনের গাইড লাইন মেনে জীবন গড়ি তা হলে সমাজে বিশৃংখলা থাকবে না। সমাজে যত বিশৃংখলা ও যত অশান্তি আছে তা দূর হবে। এবং পবিত্র কোনআন মেনে চললে আমাদের পুলিশিং কার্যক্রমও সহজ সাধ্য হয়ে যাবে। গতকাল শনিবার বিকেলে ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদ মুক্তমঞ্চে ছাতিয়ান এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত ইউনিয়নের দুই শতাধিক হাফিজুল কোরআনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন তিনি বলেন পবিত্র কোরআন যারা ধারন করে লালন করে তাদের দ্বারা অন্যকেউ আঘাত প্রাপ্ত হতে পারেনা, আহত হতে পারেনা। মসজিদে জুতা চুরি হয়ে যায়। কোন মুসল্লি জুতা চুরি করতে পারে না। চোরেরা মুসল্লির লেবাস ধরে জুতা চুরি করে। আর সব দোষ চলে যায় মুসল্লিদের উপরে। তেমনই ইসলাম নামদারি জঙ্গিবাদরা কখনো মুসলমান হতে পারেনা। তারা মুসলমানের লেবাস ধরে জঙ্গি তৎপরাতা চালায়। এ জন্য আমাদের যারা নিরহী মুসলমান রয়েছে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে এ জঙ্গিবাদের সন্দেহের তীর এখন তাদের দিকে ঢেলে দিচ্ছে। আসলে একজন মুসলমানের কাছে যেমন তার শিশু নিরাপদ, তেমননি তার পরিবার, সামাজ ও রাষ্ট্র নিরাপদ এবং অন্য ধর্মালম্বির লোকজনও নিরাপদ। ইসলামের নাম নিয়ে একটি চক্র জঙ্গিবাদের কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। তিনি বলেন পবিত্র কোরআনে হিজরতের কথা আছে। জিহাদের কথা আছে। এগুলো সঠিক ব্যাখ্যা আছে। এগুলো বুঝে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন-হলি হার্টিজানে জঙ্গিবাদে কারা জড়িত ছিল তা আপনারা দেখেছেন। তারা ছিলেন ব্যয় বহুল ইউর্নিভাসিটির ছাত্র। অশ্লীল ভাবে চলাফেরার কারণে তারা পাপচার কাজ বেশি করে ফেলায় তা থেকে সংশোধন হতে গিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন-ইসলামের সঠিক পথে আমাদের চলতে হবে। সঠিক পথে চললেও সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ আসবে। এ ধরণের অনুষ্ঠানে মাধ্যমে পবিত্র কোরআন এর হাফেজদের বিশাল গণ-সংবর্ধনা প্রদান করা এটি ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেণ তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ছাতিয়ান ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জ দারুছুনাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন মনু, মাওঃ জালাল উদ্দিন ভ্ইূয়া, সৈয়দ মুজিবুল হোসাইন লিটন, শহিদুল ইসলাম বাবু, মাধবুপুর থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক শেখ কামরুল ইসলাম, বায়েজীদ মিয়া, মাওঃ কাউছার আহমেদ প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে সংবর্ধিত হাফেজ হাতে পবিত্র কোরআন শরীফ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। রাতে ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর